রাত জেগে ভোট পাহারা দেয়া হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রার্থীদের সমর্থকরা বলেন, ভোটের আর মাত্র দুই দিন বাকি। তাই শেষ মুহুর্তে কেউ যেন তাদের পক্ষের ভোটারদের টাকার লোভ বা ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বার্থ উদ্ধার করতে না পারে সে জন্যই এ পাহারা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চার ইউনিয়নে ৩৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
টাকার বিনিময়ে নিজের বিবেক বিক্রি করব না।’ অনেক প্রার্থীই ভোটারদের প্রকাশ্যে টাকা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।
একাধিক চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোট কেনাবেচা ঠেকাতে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা পাহারা বসিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকছেন। ভোটের আগের রাত পর্যন্ত এ পাহারা চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একজন মেম্বার প্রার্থী বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোট কেনার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় ওই প্রার্থীর লোকজন টাকা পয়সা নিয়ে রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করছেন। আমার কর্মী সমর্থকেরাও ভোট বেচাকেনা ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে পাহারা দিচ্ছেন।’
কালিয়া ঘোনারচালা গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘চোর-ডাকাত ঠেকাতে মানুষ রাতে পাহারা দেন। আমরা চোর-ডাকাত নয়, ভোট বেচাকেনা ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। রাত জাগা কষ্টকর হলেও নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত এ পাহারা চলবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, নির্বাচনে কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।